নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাম প্রহরী পদে মো. জাকারিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন মুনসুর মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগে তিনি বলেন, জাকারিয়া দীর্ঘদিন ধরে ৮ম শ্রেণির জাল সনদে ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন। যে কারণে গ্রামের অন্যান্য যোগ্যব্যক্তিরা উক্ত পদে চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিষয়টি যাচাই বাছাই পূর্বক তদন্ত করা প্রয়োজন।
অভিযোগের সূত্রে স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সে কুমিল্লা বোর্ডের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নিয়েছে সে কুমিল্লাতে কখনই লেখাপড়া করেনি। এ ঘটনায় গোটা গ্রামে যেমন চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে তেমনি, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জেলা প্রশাসক বরাবর জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. জাকারিয়া বলেন , আমাকে হয়রানি করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনার কাছে সার্টিফিকেট এর কোন কপি আছে জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজাদ বলেন, নিয়োগ দেওয়ার সময় স্কুল কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিয়েছেন। তাছাড়া সার্টিফিকেট জাল বলে মনে হয়নি।