আলোচিত সিলেট ডেস্ক : ২০১৫ সালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন শমশের মুবিন চৌধুরী। তবে তিন বছর পর ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে যোগ দেন বিকল্পধারা বাংলাদেশে। পাঁচ বছর পর আবারও দল পাল্টালেন এই কূটনীতিক। এখন তিনি তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল বিকল্পধারার মনোনয়নে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন শমশের মুবিন চৌধুরী।আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবারও দুজন প্রার্থী হয়েছেন।
শমশের মুবিন চৌধুরী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামায় সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, গত ৫ বছরে বিপুল পরিমাণ আয় কমলেও বেড়েছে অস্থাবর সম্পত্তি। তবে নগদ কোনো অর্থ নেই তাঁর স্ত্রীর।
২০১৮ সালে শমশের মুবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩টি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি খারিজ ও দুটি চলমান। এবার সেগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য নেই হলফনামায়।
আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে দেখানো হয়, বার্ষিক আয় কমেছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৯ টাকা। তবে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৩৭ টাকার।
৫ বছর আগে মোট সাড়ে ৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির কিছুই নেই এবার স্ত্রীর কাছে। নগদ কোনো টাকা, যানবাহন ও স্থাবর সম্পত্তি নেই স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই।
হলফনামায় দেওয়া বিবরণে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে শেয়ার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক আয় মাত্র ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৬ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ আছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫ টাকা। তাঁর কোম্পানির শেয়ার ১০ লাখ টাকা। পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেট ও বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে ৮০ লাখ টাকার। স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য ধাতব দ্রব্য ৫০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাব আছে ৪ লাখ টাকার। নগদ কোনো টাকা, যানবাহন ও স্থাবর সম্পত্তি নেই।
এ ব্যাপারে শমশের মুবিন চৌধুরী বলেন, ‘আমার হাতে টাকা নেই, তবে ব্যাংকে টাকা আছে। সঞ্চয়পত্রের হার কমে যাওয়ায় সম্পদের পরিমাণ কমেছে।
সূত্র : আজকের পত্রিকা
