গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য সৈয়দ রাসেল আহমদ।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের খালপার বাজারে এ হামলার শিকার হন তিনি। এসময় তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
হামলাকারীরা হচ্ছেন উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের হায়াত আহমদের ছেলে দাইয়ান আহমদ (২৫) ও মজিদপুর গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন (২৮)।
সাংবাদিক সৈয়দ রাসেল আহমদ জানান, পেশাগত কারণে অনেক সময় আমাকে সমাজে ঘটে যাওয়া অন্যায় অবিচারের সংবাদ প্রকাশ করতে হয়, এসব সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকের চক্ষুশূলে পড়তে হয়। বাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছানা মিয়ার পরিবার এলাকার প্রভাবশালী পরিবার হওয়ায় ছানা মিয়ার ভাতিজা নাজমুল ও তার ফুফাত ভাই দাইয়ান পারিবারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর বিভিন্ন ধরণের হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়।
রাসেল আরো বলেন, গত দুদিন আগে আমি একটি ঈংগিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে। যেখানে কারো নাম এবং এলাকার নাম উল্লেখ না করলেও নাজমুল ও দাইয়ান দাবি করেন এটি তাদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করেছি। এই পোস্টের জন্য আমার এক বন্ধুর কাছে তারা বিচারপ্রার্থী হলে আমি আমার বন্ধুর অনুরোধে সেই পোস্টটি হাইড করি।
বুধবার রাত ১১টার দিকে আমি বাঘা ইউনিয়নের খালপার বাজারে আমার ছেলের জন্য নুডুস ও ডিম কিনতে গেলে বাজারের একটি দোকানের সামনে আমার ওপর হামলা চালায় তারা। এসময় আমি তাদের এ হামলার ভিডিও ধারণ করতে গেলে, আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং আমার কলার ধরে অকট্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দোকানের বারান্দায় ফেলে দেয়। এসময় আমার সদ্য হাটুর লিগারমেন্টে অপারেশন হওয়া জায়গায় মারাত্মক আঘাত পাই।
তাৎক্ষনিক আমাকে কয়েকজন চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসি। এ ঘটনায় আমি গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
