নিউজ ডেস্ক : সিলেটের গোলাপগঞ্জে জেনি দেব পূজা (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে টানা ৩ দিন আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে ওই কলেজ ছাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত (১৩ অক্টোবর) ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে রায়গড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবক একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আশরাফ রহিম।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক আশরাফ রহিম তার দলবল নিয়ে ঘটনার দিন কোন কারণ ছাড়াই ভুক্তভোগী জেনি দেব পূজার বাড়ির মণ্ডপে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা পূজা মণ্ডপ ভেঙে চুরমার করে দেয়। তাদের বাধা দিতে গেলে জেনি দেবের পরিবারের সবাইকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে। পরবর্তীতে আশরাফ রহিম জেনি দেব পূজাকে তার বাংলো বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে টানা ৩ দিন জোরপূর্বক তাকে শারিরীক নির্যাতন করে। ঘটনার দিন জেনি দেবের পিতা গনেশ চন্দ্র দেব গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণ মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে উল্টো শাসিয়ে বিদায় করে দেয় এবং মামলা করলে সন্ত্রাসী আশরাফ রহিম জেনি দেবের পরিবারের সবাইকে খুন করে ফেলবে বলে জানান।
আরও জানা যায়, জীবনের ভয় নিয়ে মেয়েকে ছাড়িয়ে আনতে আশরাফ রহিমের কাছে যান জেনি দেব পূজার বাবার গনেশ চন্দ্র দেব। কিন্তু সে জেনি দেব পূজাকে ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে ছেড়ে দেবে বলে জানায়। অসহায় গণেশ দেব মেয়েকে ছাড়িয়ে আনতে স্ত্রীর ৩ ভরি সোনা ও নগদ ২ লাখ টাকা আশরাফ রহিমকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন। সেখান থেকে ছুটে এসে বর্তমানে আজ ১৬ অক্টোবর জেনি দেব ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ভুক্তভোগী জেনি দেব পূজার বাবার বলেন, কোন কারণ ছাড়াই সন্ত্রাসী আশরাফ রহিম তার দলবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা বাধা দিতে গেলে পরিবারের সবাইকে তারা মারধর করে। পরে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে টানা তিনদিন জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। পরে মুক্তিপণ দিয়ে আমার মেয়েকে সন্ত্রাসী আশরাফ রহিমের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনি। তার শারিরীক নির্যাতনের কারণে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই এবং সন্ত্রাসীকে আইনের আওয়াত এনে শাস্তির দাবি জানাই।
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানেননা বলে জানান।
