পুলিশ ও মামলার এরজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ মাস পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে উপজেলার তাজপুর ইউপির খাশিপাড়া গ্রামের জাতীয় পার্টি নেতা সিরাজ মিয়ার ছেলে জয়নালের সাথে একই উপজেলার গোয়ালাবাজারের একটি গ্রামের ঐ তরুনীর সাথে প্রথম পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে ঐ তরুনীর সাথে জয়নালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জয়নাল প্রায় সময় প্রেমিকা তরুনীর বর্তমান বাসায় আসা যাওয়া করত।
জয়নাল তার প্রেমিক এই তুরণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তরুণী রাজি হয়ে যায়। এক পর্যায়ে জয়নাল তার প্রেমিকা তরুণীকে বিবাহ করার কথা বলে সিলেট শহরে নিয়া যায়। তারা কোন কাজী অফিসে না যেয়ে সিলেট শহরস্থ শাহ জালাল আবাসিক হোটেলে উঠে। প্রেমিকা এই তরুনী জয়নালকে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলে, উক্ত হোটেলে একটি রাত থাকতে হবে এরপর কোর্টে গিয়ে বিয়ে করবে তারা।
হোটেলে থাকা অবস্থায় গত ৪ ফেব্রুয়ারী মধ্যরাতে জয়নাল তার প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরের দিন জয়নাল কাজী অফিসে যাওয়ার বিষয়ে তালবাহানা শুরু করলে প্রেমিকা তরুণী তার বাসায় চলে আসে। পরবর্তীতে প্রেমিক জয়নাল প্রায় সময় প্রেমিকার বাসায় আসা যাওয়া করত এবং তাকে বিয়ে করার বিষয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে জয়নালের প্রেমিকা ঐ তরুণী শারীরিরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে তাজপুরস্থ প্যারাডাইস হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকে দেখানোর পর চিকিৎসক তাকে বলেন সে(তরুণী) ৫সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি প্রেমিক জয়নালকে জানালে সে প্রেমিকের গর্ভ থাকা বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতে বলে এবং তাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়।
নিরুপায় হয়ে জয়নালের প্রেমিকা তরুনী গত ১৯ মে দুপুরে জয়নালের খাশিপাড়া গ্রামস্থ বাড়িতে গিয়ে তার পিতা সিরাজ মিয়াকে বিষয়টি অবগত করে এই তরুণী। জয়নালের পিতা সিরাজ মিয়া এই তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার বাড়ি হতে চলে যাবার জন্য বলে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুনীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নথি ভুক্ত করে।
ঘটনার সত্যত নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন, অন্ত:সত্ত্বা তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে তার কথিত প্রেমিক জয়নালকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ভুক্তভোগী তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।