আলোচিত সিলেট ডেস্ক : সিলেটে ট্রাফিক পুলিশের রেকার ও স্লিপ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ট্রাফিক পুলিশের এমন ‘হয়রানির’ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন তারা।
এরই অংশ হিসেবে রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল সিলেট নগরীর উপশহর পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা। প্রায় ঘন্টাখানেকের অবরোধে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশের বক্তব্য তারা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই রেকার করছেন।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে কাগজপত্র ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। মামলাও দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ গাড়ি রেকিংও করা হয়।
ট্রাফিক পুলিশের এমন তৎপরতায় পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। শ্রমিকদের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশ সাম্প্রতিক সময়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। অযথা মামলা দিয়ে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে চালকদের।
সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ এনে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া জানান, ‘ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির কোনো শেষ নাই! পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ! সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মামলা দেয়া হচ্ছে। ট্রাক, পিকআপ, অটোরিকশা সব গাড়িকে ধরে তারা। চালকদের সঙ্গে বেয়াদবিও করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে কাচাবাজারে মালামাল আনলোড করে কয়েকটি ট্রাক বেরিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে তিন-চারটি গাড়িকে আটকে মামলা দেয় পুলিশ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের শান্ত করে। তাদের আশ্বাসে সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।’
ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানিয়ে দিলু মিয়া বলেন, ‘রেকার বাণিজ্যে আমরা অতিষ্ঠ। সঙ্গে স্লিপ বাণিজ্য চলছে।’
শ্রমিকদের অভিযোগ সম্পর্কে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ট্রাফিক পুলিশ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই গাড়ি রেকার করছে। আর স্লিপ বাণিজ্যের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
