নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট জেলা অটোরিকশা-অটো টেম্পু চালক শ্রমিক জোট রেজিস্ট্রেশন নং-২০৯৭ এর অন্তর্ভুক্ত গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী মডেল শাখা নতুন যে ভাড়া নির্ধারণ করেছিল সেটা আর ব্যবহার করা যাবেনা। আগের ভাড়া বহাল থাকবে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রশাসনের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সিএনজি অটোরিকশার নের্তৃবৃন্দদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন হঠাৎ করে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে? কেন্দ্রীয় ভাবে কি কোন কাগজপত্র তাদের কাছে এসেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এরপর তাদের সাথে নিয়ে উপস্থিত সকলে সিদ্ধান্ত নেন যে কেন্দ্রীয় ভাবে কোন কাগজপত্র ছাড়া নিজেদের খেয়ালখুশি মত ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবেনা। এজন্য সিএনজি অটোরিকশার পূর্বের ভাড়া বহাল থাকবে।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী মান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে গতকাল ১৬ আগস্ট সিলেট জেলা অটোরিকশা-অটো টেম্পু চালক শ্রমিক জোট রেজিস্ট্রেশন নং-২০৯৭ এর অন্তর্ভুক্ত গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী মডেল শাখার পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানো হয়।
যে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সাধারণ মানুষের এক প্রশ্ন গ্যাসের দাম তো বাড়েনি, তাহলে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া কেন বাড়ানো হয়েছে?
এরপর সিলেটের অনলাইন গণমাধ্যম আলোচিত সিলেটে "গোলাপগঞ্জ থেকে হঠাৎ বিভিন্ন রোডে বাড়লো অটোরিকশার ভাড়া, ক্ষোভ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করলে প্রশাসন সহ সকলের দৃষ্টিগোছর হয়। এরপর আজ (বুধবার) তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের জন্য সিএনজি অটোরিকশা চালক নের্তৃবৃন্দদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
