গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আদিবা হোসেন বলেছেন,আমার বাবা (ড.সৈয়দ মকবুল হোসেন) শিক্ষার মানোন্নয়নে মৃত্যু অবধি কাজ করে গেছেন। আমি চাই বাবার মতো শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে। গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমার বাবার অবদান রয়েছে। আমাদের পরিবারের সকলের নামে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। শিক্ষার প্রতি তার আলাদা একটা টান ছিলো। তিনি চাইতেন সমাজের একটা শিশুও যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়।
তিনি মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নে নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দা আদিবা হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সৈয়দা আদিবা হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তোমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। একদিন তোমরা আলোকিত মানুষ হবে। একদিন তোমরা বিসিএস দেবে, কলেজে শিক্ষকতা করবে। এভাবে তোমরাই এ দেশকে আলোকিত করবে।’
প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি রুহেল আহমদ আকন্দের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবু তাহের সিদ্দীকির পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারী প্রধান শিক্ষক মো. সাইকুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নুরুল ইসলাম মুন্না, বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শাহনুর আহমদ, হাফিজ মনসুর আহমদ।
সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র কাজী আইমান মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী শহিদুল হক।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রোকসানা বেগম, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থেকে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তাছনুভা জান্নাত তমা ও সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌসী ও মারিয়া আক্তার বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অডিও ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার (SRD) সভাপতি এতোয়ার হোসেন মুজিব, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ কাওছার আহমদ জগলু, সহসভাপতি আব্দুল হান্নান মাষ্টার।
এসময় বিদ্যালয়ের এসএসসি-২০২৫ ব্যাচের কৃতি শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নগদ অর্থ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।