শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাংপানি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত চারজন হলেন, উপজেলার নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহসান (২৬), নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে নিহাল পাল (২৫), নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে মেহেদী হোসেন তমাল (২৪) ও নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২৫)। তারা সকলেই জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালি উল্লাহ বদরুল।
তিনি জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা জৈন্তাপুর থেকে একটি প্রাইভেট কার নিয়ে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে ৪নম্বর বাংলাবাজার এলাকায় পৌছালে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে প্রাইভেটকারটি ব্রিজের নিচে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তারা মারা যান।
পরে রাতেই মরদেহগুলো হাসপাতাল থেকে তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ গভীর দু:খ প্রকাশ করেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ। এছাড়া শতশত ছাত্রলীগ কর্মী হাসপাতালে জড়ো হন।
এসময় হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।