আলোচিত সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গাছ রোপন করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ছায়েম মিয়া (৫০), স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৫) ছেলে মাছাদুল হোসেন ময়জুল (২৫)। বর্তমানে তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। প্রতিপক্ষের চার জন প্রাথমিক আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। আহতরা হলেন, কামাল মিয়া (৪০) ও সায়েদ মিয়া (৫৫), লাভলী বেগম।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের মৌলভীগ্রামের বাসিন্দা ছায়েম মিয়া (৫০) এর সাথে একই গ্রামের তারই আপন দুইভাই কামাল মিয়া ও সায়েদ মিয়ার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে শনিবার আনুমানিক দুপুর ২টায় ছায়েম মিয়া (৫০) তার জমিতে রোপনকৃত গাছের পরিচর্যার জন্য গেলে প্রতিপক্ষ কামাল মিয়া ও সায়েদ মিয়ার সাথে পান গাছ ও লেবু গাছ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ তার লোকজন নিয়ে ছায়েম মিয়ার উপর হামলা করে। এরপর ঘটনাস্থলে ছায়েম মিয়া স্ত্রী-সন্তান আসলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাহমুদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি মেডিকেল হাসপাতালে, ছায়েম মিয়া মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এবং ছেলে ময়জুলের হাতে শক্ত জখম হয়।
চিকিৎসাধীন মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলো কামাল ও তার ভাই সায়েদ মিয়া। আমার নিজের জমিতে রোপনকৃত গাছের পরিচর্যা করতে গিয়ে আমাকে আমার স্বামী ও ছেলেকে প্রতিপক্ষ সায়েদের স্ত্রীর সহযোগীতায় কামাল মিয়া ও সায়েদ মিয়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপ দেয়।
অপরপক্ষের কামাল মিয়া বলেন, জমি নিয়ে কোনো বিরোধ ছিলো না। পুকুর পাড়ে লেবু ও পান গাছ তুলে ফেলা এবং লেবু খাওয়া নিয়ে মাহমুদা ও সায়েদ মিয়ার স্ত্রীর বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আমাদেরও আহত রয়েছেন।
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির কথা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আফতাব মিয়া বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন পান গাছ, লেবু গাছ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে কুলাউড়া থানার একদল পুলিশ সদস্যও আসেন। পরে সামাজিক ভাবে বসে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করি।
