কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মানহানীর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
রোববার (১৮ জুন) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে উপস্থিত হয়ে এই বিবৃতি দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা বিভিন্ন কাজে উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসি। নির্বাচন কর্মকর্তা জিবুন্নাহার বেগম অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়ে থাকেন। কাজের জন্য সরকারি ফি ব্যতীত অতিরিক্ত কোন টাকা আমার কাছ থেকে নেয়নি এবং আমাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকেও নেয়নি। আমরা কোনদিন শুনি নাই যে তিনি সরকারি নির্ধারিত ফি ব্যতীত কারো কাছ থেকে ঘুষ নিতে।
এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে তিনি উনার নিজ তহবিল থেকে নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে একটি চেয়ার কিনে রেখেছেন। যাতে লেখা আছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত।
তারা আরও বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মনে করেন একজন সৎ দক্ষ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা জিবুন্নাহারের বিরুদ্ধে সিলেটের বহুল প্রচারিত জাগ্রত সিলেট পত্রিকায় গত ১২ জুন এমন বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করা সমীচিন হয়নি। উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের অনেকের লাল মুক্তিবার্তা নাম্বার, গেজেট নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে অনেক ভুলত্রুটি দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে যে কেউ নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট গেলে তিনি সুপরামর্শ দিয়ে সহজেই তা সংশোধন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এ ছাড়াও তিনি কাহার নিকট কোন প্রকার টাকা পয়সা দাবি করেননি। তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম রফিকুল ইসলামের বোন।
লিখিত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শফি উদ্দিন রেনু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মোল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা কচির মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের সভাপতি মো. আনোয়ার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফারুক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কবির আহমদ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিবুন্নাহার বেগম বলেন, সরকার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য। আমি সরকারি নিয়মকানুন মেনে সত্যতা ও নিষ্ঠার সাথে সাধারণ মানুষকে সর্বোচ্চ ভালো সেবার দিচ্ছি। সেই কাজের জন্য সরকার আমাকে বেতন-ভাতা দিচ্ছে। এই টাকায় আমার দুই সদস্যের পরিবারে ভালো ভাবে চলতে পারি। সরকারি বেতন-ভাতার বাহিরে আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই। যার ফলে এই উপজেলা কার্যালয়ে সরকারি সেবা নিতে সরকারি ফি ব্যতীত কোন ধরনের টাকা পয়সা দিতে হয় না। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্তব্য পালন করেছি। কোন উপজেলায় আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমি নিয়মবহির্ভূত ভাবে কোন কাজ করি না বলে আমার উপর উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।