লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ডায়েটের জয়জয়কার। সুস্থ আর ফিট থাকতে নিয়মমাফিক খাবার খেয়ে থাকেন সবাই। পছন্দের বার্গার, পিৎজা বা চিকেন ফ্রাই দূরে রেখে কাছে টেনে নেন ফল আর সালাদ।
আপনিও কি ডায়েটে আছেন? আজ তবে সব হিসেব ভুলে যান। যা ইচ্ছে হয় খান। নাহ, চিট ডে নয় আজ সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে ‘নো ডায়েট’ দিবস।
প্রতি বছর ৬ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় এই অদ্ভুত দিবসটি। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প। কেন পালন করা কয় এই দিবস? চলুন জেনে নিই ইতিহাস-
১৯৯২ সালে মেরি ইভান ইয়ং প্রথম এই দিনটির সূচনা করেন। ডায়েট ব্রেকার্স নামে একটি সংস্থাও ছিল তার। তবে ডায়েট করে শরীর খারাপ করার উদ্দেশ্যে এই সংস্থা সৃষ্টি করেননি তিনি। বরং চেয়েছেন শরীর নিয়ে কিছু ধারণা ভেঙে দিতে।
মোটা হলেই নানা লোকের নানারকম টিটকিরি শুনতে হয়। অনেকেই মোটা মানুষকে তির্যক চোখে দেখেন। এসব ধারণা ভাঙতেই এই উদ্যোগ। সেই থেকেই পালিত হয় ‘নো ডায়েট ডে’। এই দিবস মানলে বছরের এই একটা দিন কোনো ডায়েট মানা যাবে না।
অনেকেই লোকের তির্যক মন্তব্যের কারণে মন খারাপ করেন। তাদের উৎসাহ দিতেই পালন করা হয় এই নো ডায়েট ডে। এই দিন নিজেকে সম্মান জানানোর দিন।
আপনি দেখতে যেমনই হোন, নিজেকে সম্মান দিন। সারা বছর ডায়েট মানলেও আজকে ‘না’ বলুন। যা ইচ্ছে হয় খান। কাল থেকে নাহয় আবার নিয়মে চলে যাবেন।