ফাহিম আহমদ : চলছে রমজান মাস। ইফতারের পর থেকেই সেহরির আগ পর্যন্ত ধাপে ধাপে এসে যুবকদের মাদক সেবন করার নিরাপদ স্থান যেন হয়ে উঠেছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ সরকারি এমসি একাডেমির মূল ফটক (প্রথম গেইট)।
প্রতিদিন ইফতারের পর থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত মোটরসাইকেলযোগে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে যুবকরা এসে এখানে আড্ডা বসান। সেই সাথে চলে তাদের মাদক সেবন৷
সরেজমিন গত তিন দিন থেকে দুপুরে ও রাতে এমসি একাডেমির মূল ফটকের (প্রথম গেইট) সামনে গিয়ে দেখা যায়, গেইটের সামনে শতশত সিগারেটের খোসা পড়ে রয়েছে৷ মোটরসাইকেল আটকিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন কয়েকজন যুবক৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, প্রতিদিন তিনি বন্ধুদের সাথে এখানে এসে আড্ডা দেন৷ সেই সাথে ধুমপান করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আড্ডা, ধুমপান করা ঠিক কিনা জানতে চাইলে ওই যুবক উত্তর দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় ও একাধিক সচেতন মানুষের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এধরনের আড্ডা, মাদক সেবন করা কখনো মানা যায়না। এই সকল যুবকদের বাধা দিলে তারা উশৃংখল আচরণ করে৷ এই প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষের উচিত যাতে এখানে কেউ আড্ডা ও মাদক সেবন করতে না পারে এজন্য কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা৷
এবিষয়ে সরকারি এমসি একাডেমির অধ্যক্ষ সুজিত কুমার তালুকদার বলেন, বিষয়টি খুবই খারাপ। এবিষয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায়ও কথা বলেছি। আমাদের যে দুজন প্রহরী রয়েছে তারা বাধা দিলেও এরা কথা শুনে না। আমি ওসি সাহেবের সাথেও এবিষয়ে কথা বলব। যাতে এখানে আড্ডা বন্ধ করা যায়।