স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গোলাপগঞ্জের উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের কোনাগাঁও খালটি কুশিয়ারা নদী থেকে পশ্চিম দিকে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের কুড়াগাঙয়ের সাথে মিলিত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের সরকারি রেকর্ডিও এ খালটি উত্তর আলমপুর গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে ফরিজ আলী ও তার নিজের লোকজন নিজেদের স্বার্থে মাটি ভরাট করে বন্ধ করে দিয়েছেন। খালটি দখল করার জন্যই তারা এমন কাজ করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর অভিযোগ।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে তারা খালে বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করলে গ্রামবাসী বাধা দেন। কিন্তু ফরিজ ও তার লোকজন অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কোনো বাধাকেই পাত্তা দেননি। উল্টো বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দিয়ে অযথা হয়রানির হুমকি দিয়েছিলেন তারা। গ্রামবাসী তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে ছিলেন অসহায়। তবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় উত্তর আলমপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) উত্তর আলমপুর গ্রামবাসী উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনকে নিয়ে এক সভায় মিলিত হন। তার আগে চেয়ারম্যান নিজে সরকারি খালে দেয়া বাঁধসহ গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন।
সভায় ফরিজের উপস্থিতেই বাঁধের মাটি অপসারণ করে খালটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সেই কাজ শুরু হওয়ার কথা।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, সরকারি খাল এভাবে বন্ধ করা যায়না। এটা উচিৎও নয়। তাই গ্রামবাসী তাদের সুবিধার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাঁধের মাটি অপসারণ করার। কাল থেকেই কাজটি শুরু হবে।
উত্তর আলমপুর গ্রামের অধিবাসী মিনহাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাঁধের মাটি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খালটি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে।
খালে বাঁধ দেয়ার কারণ জানতে ফরিজ আলীর মোবাইলে বুধবার বিকেলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। তবে এর আগে গত মার্চে যখন কাজটি শুরু করেন, তখন এ প্রতিবেদক বাঁধ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি এমন কাজ করছেন না বলে জানিয়েছিলেন। এমনকি খাল দখলের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছিলেন।
সূত্র : সিলেটপ্রতিদিন