বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেট-২ আসনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গণফোরাম মনোনীত মোকাব্বির খান (সূর্য), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার বর্তমান মেয়র মুহিবুর রহমান( ট্রাক) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহিয়া চৌধুরী এহিয়া( লাঙ্গল) ও তৃনমুল বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রব মল্লিক (সোনালী আশঁ)।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটের দিন সকাল থেকে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল ও এজেন্ট সমর্থকদের মারধর সহ বিভিন্ন খবর তাদের কাছে আসলে এই চার প্রার্থী সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বাস্তবতা দেখতে পান। বিশ্বনাথ উপজেলার উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজে দাঁড়িয়ে কর্মী সমর্থকদের দিয়ে অবৈধ ভোট কাস্টিং করানো সহ জাতীয় পার্টির ইয়াহিয়া চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
সময় গড়াতেই বিশ্বনাথ ওসমানীনগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম,অবৈধ ভোট দেওয়া ও এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র দখলের খবর ছড়াছড়ি হলে একসাথে এই চার প্রার্থী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যান।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান বলেন,প্রহসনের নির্বাচন ছিল,পূর্বে থেকে পরিকল্পনা করে কেন্দ্র দখল করে আমাদের এজেন্ট ও কর্মীদের পিটিয়ে জাল ভোট দিয়েছেন নৌকা সমর্থকরা। আমি ম্যাজেস্টেট সহ কতৃপক্ষকে বলার পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। এই ভোট বর্জন করার পাশাপাশি নির্বাচন স্থগিত রাখার আহবান জানান।
গণফোরাম প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান ও তৃনমুল বিএনপির প্রার্থী আবদুর রব মল্লিক জানান,আমরা তাদের চক্রান্তের খবর জানতাম। নির্বাচনের আগে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলাম, আশা করে ছিলাম সুষ্ঠু সুন্দর ভোট হবে কিন্তু আজকের নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণ প্রহসনের নির্বাচন। তাই তিনি নির্বাচন বর্জন করেছেন বলে জানান।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী এহিয়া চৌধুরী বলেন,আমাকে একটি কেন্দ্রে জিম্মি করে রেখে নৌকার সমর্থকরা প্রকাশ্যে পুলিশ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাকে আঁতাত করে জাল ভোট দেওয়া হয়। তাদের কারণে আমাদের এজেন্টরা কেন্দ্রে ও যেতে পারে নাই। এই ধরনের নির্বাচনে থাকার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা তাই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।