এদিকে হেলাল আহমদকে হারিয়ে ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন শারমিন। তার এই অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে পরিবারের সিদ্ধান্তেই মৃত হেলালের ছোট ভাই দুলালের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। এরপর শারমিন ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন দুলালকে নিয়ে। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নিলো। সড়কেই ঝরে গেলো শারমিনের দ্বিতীয় স্বামী দুলাল মিয়ার জীবন প্রদীপ।
হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিহত দুলাল মিয়ার ফুপাতো ভাই মো. শাহীন জানান, দুলালের বড় ভাই হেলাল আহমদ প্রায় তিন মাস আগে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মাসখানেক আগে পরিবারের লোকজন হেলালের স্ত্রী শারমিন বেগমকে (২৫) বিয়ে দেন দুলাল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর কাজের জন্য সিলেটে আসেন দুলাল। থাকতেন আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকার ভাড়া বাসায়। দুলালের মৃত্যুতে তার পরিবারের সঙ্গে স্ত্রী শারমিন বেগমও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এদিকে বিকেলে দুলালের লাশবহনকারী এম্বুল্যান্স এলাকায় ডুকলে কান্নার রুল পড়ে চারিদিকে। লাশ দেখতে ছুটে আসেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, বুধবার (৭ জুন) ভোরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকায় এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাবনগাঁও গ্রামের মৃত ওয়াহাব মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (৫০), একই উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬), তলেরবন্দ গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর ছেলে আউলাদ তালুকদার (৫০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিস মিয়া (৫০), একই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৬), একই গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (১৯), মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নুর (৬০), সাগর আহমদ (১৮), উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত সোনাই মিয়ার ছেলে সাধু মিয়া (৪০), গছিয়া গ্রামের মৃত বারিক উল্লাহর ছেলে সিজিল মিয়া (৩৫) ও কাইমা গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫)।