রবিবার (২৫ জুন) বিকাল ৪টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়। উৎপাদনের পর ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ফের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে সিলেটে লোডশেডিং একবারে কমে যাবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির জানান, নির্বাচনকালীন সময় বিবেচনা করে এতদিন সিলেটে লোডশেডিং কম ছিল। সিলেটে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৬৬০ মেগাওয়াটের মত তবে আমরা পাচ্ছি ৫০০ মেগাওয়াটেরও কম। যার কারণে লোডশেডিং করা হচ্ছে। আজ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হয়েছে। তবে জাতীয় গ্রিডে এই বিদ্যুৎ এখনো যুক্ত হয়নি। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলো সিলেটে লোডশেডিং একেবারে কমে যাবে।
উল্লেখ্য, ডলার সংকটে কয়লা আমদানি সম্ভব না হওয়ায় ২৫ মে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ৫ জুন বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর সিলেটে বেড়েছে লোডশেডিং।
নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের এলসি (আমদানি ঋণপত্র) খোলা হয়। ২৩ জুন মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জলসীমায় নোঙর করে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি অ্যাথেনা।