নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট সদর উপজেলাধীন এয়ারপোর্ট থানার সাহেব বাজারস্থ ডা. মো. আকরাম উদ্দিনের বসত বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গত (১৬ মে) মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র, বল্লম, লাটি-শাটা নিয়ে ডাক্তারের দোকানপাট ফার্মেসী ও বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ডা. আকরাম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাড়ির এক ভাড়াটিয়া বলেন- প্রতিদিনই আমাদেরকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। যদি বাড়ি ছেড়ে না যাই তবে, ডাক্তারের উপর হামলা করলে আমরাও এ হামলার শিকার হবো বলে বারবার শাসিয়ে যাচ্ছে।
অন্য এক ভাড়াটিয়া বলেন- স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনো স্থানে বসবাস করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। খোরশেদ আলম ও তার লোকদের ভয়ে ২টি ভাড়াটে পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। আশা নামীয় এনজিও সংস্থাকে বাড়ি ছাড়তে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে- ভাড়াটিয়ারা ডাক্তারের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন বটে। কিন্তু ডাক্তার ও তার পরিবারের লোকজন নিজ বসত বাড়ী ছেড়ে কোথায় আশ্রিত হবেন! এক অজানা আতঙ্ক সর্বত্র বিরাজ করছে। এহেন কার্য্যকলাপ দেশে চলতে থাকলে দানবীয় শক্তির কাছে ভালো মানুষকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এ ব্যাপারে ডা. আকরাম উদ্দিন বলেন- খোরশেদ আলম ও তার লোকদের অত্যাচারে নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে সাহায্য চেয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করি। পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক রুপ ধারণ করে এবং গত ১৬ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তারা আমার বসত বাড়িতে হামলা করে, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। এঘটনায় ২৩ মে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু এখনো খোরশেদ আলম ও তার লোকেরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার-আত্মীয় স্বজন, বাড়ির ভাড়াটিয়া লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ও প্রাণ ভয়ে আছেন। রাস্তাঘাটে, হাট বাজারে পেলে হত্যা খুন-খারাবির ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।
তিনি প্রশাসন, সাংবাদিক মহল, মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ন্যায়-বিচারের মাধ্যমে তার ছোট ভাই ডা. নিজাম উদ্দিনের হত্যাকারিদের ফাঁসি দাবী করেন।
উল্লেখ্য, জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে খুন হন ডা. নিজাম উদ্দিন। গত বছরের ৯ এপ্রিল ভোরে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড মামলার এজাহারে নয়ন মিয়া, জামিল আহমদ, মুজিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, খোরশেদ আলম সহ ৩৭ জনকে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় পেনাল কোড মামলা দায়ের করা হয় ।