গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলাপগঞ্জে মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন গোলাম এহিয়া এমরান নামের এক যুবক।
রোববার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের নিজ ফুলশাইন্দ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী গোলাম এহিয়া এমরান গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে গোলাম এহিয়া এমরান উল্লেখ করেন, তার চাচা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কাদিরের বাড়ি ও নিজস্ব কবরস্থানের দেয়াল ভাঙ্গা ও দেয়ালের মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় সে স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।
অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন রোববার সকাল ১১টায় নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য ১লক্ষ টাকা নিয়ে এমরান বাড়ি থেকে বের হলে তাকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে নিজ ফুলশাইন্দ গ্রামের মৃত আখলাক মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ছুটু, ফয়জুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় এমরান নিজেকে বাঁচানোর জন্য বাড়িতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে ঢুকেও তার উপর হামলা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী গোলাম এহিয়া এমরান বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাচার জায়গা দখলের জন্য অভিযুক্তরা বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করে আসছে। বিভিন্ন সময় তারা আমার চাচা ও আমাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদাও দাবি করে আসছিল। বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়েও তারা আমাদের হয়রানি করে আসছে। চাচার দায়ের করা মামলায় আমি স্বাক্ষী হওয়ায় আমায় আগ থেকে প্রাণে মারার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। রোববার তারা পূর্ব পরিল্পিতভাবে আমায় প্রাণে মারার জন্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। অল্পের জন্য আমি বেঁচে ফিরলেও আমার পায়ে ও হাতে তারা হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। এছাড়া আমার গলায়ও দা দিয়ে কুপ মেরেছিল যা অল্প আমার গলায় লেগেছিল। আমি এখনো আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোন সময় তারা আমার উপর আবারও হামলা করতে পারে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।