গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জে মামলা করে বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। প্রতিনিয়ত আসামীপক্ষ তাদের মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। মামলার বাদী আমুড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধারাবহর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মাওলানা আব্দুল কাদির। এ বিষয়ে তিনি গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং- ১১৯২) করেছেন।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই (সোমবার) রাত ১২টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মাওলানা আব্দুল কাদির তার সহোদর সাইফুল ইসলাম ও খালাতো ভাই আব্দুল কাইয়ুমকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পূর্ব ওঁৎ পেতে থাকা ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব বারকোট গ্রামের আব্দুস শহীদের পুত্র ইয়াকুব আহমদ, বিলাল আহমদ, জুবায়ের আহমদ, কবির আহমদ সহ আরো কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় তারা গুরুতর আহত হন। এসময় তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও পরিবারের লোকেরা তাদের উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় মাওলানা আব্দুল কাদির বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ইয়াকুব আহমদ, বিলাল আহমদ, জুবায়ের আহমদ, কবির আহমদ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে (মামলা নং-১৬/১৩৮) একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার ২নং আসামী বিলাল আহমদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। পরদিন তিনি আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন এবং ১নং আসামী ছাড়া বাকি সব আসামীরাও আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। জামিনে মুক্তি নিয়ে আসামীরা বাদীপক্ষের পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী আব্দুল কাদির।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মাওলানা আব্দুল কাদির এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি এবং আমার খালাতো ভাইয়ের উপর সংঘবদ্ধ হামলা করায় আমি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলাম। এই মামলায় বেলাল নামের একজন আসামী গ্রেপ্তার হন। এরপর আদালত থেকে জামিন পেয়ে ওই আসামী সহ বাকি আসামীরা প্রতিনিয়ত আমায় মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। মামলা না তুললে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমি এবং আমার পরিবার তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন। রাস্তায় বের হলেই তারা দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলার জন্য তাড়া করে। বর্তমানে আমার পুরো পরিবার গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছি। তিনি সহ তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তাসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে মামলার বিবাদী জুবায়ের আহমদ জানান, আমরা কেউ আব্দুল কাদিরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছিনা এই অভিযোগটা পুরোপুরি মিথ্যা। বরং আব্দুল কাদির আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি এখন আদালতের মাধ্যমে জামিনে আছেন। অপর আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়াও জিডির আলোকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
